পূর্বমেদিনীপুর.কম : তমলুকে
ছেলেধরা সন্দেহে এক নিরীহ যুবককে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনা এখনও দগদগে হয়ে
রয়েছে মানুষের মনে। তারই মাঝে আচকমাই ছেলেধরা তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব
মেদিনীপুরের আনাচে কানাচে। হঠাৎই গুজব ছড়াচ্ছে, এলাকায় ঘুরছে ছেলেধরা বা কিডনী
পাচার চক্র। তাই সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই শুরু হয়ে যাচ্ছে গণ প্রহার।
এমনই একটি ঘটনা ঘটে
হলদিয়ার ভাগ্যবন্তপুরে। যেখানে এক অপরিচিত মদ্যপকে ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক গণ ধোলাই
দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনা কড়া হাতে মোকাবিলা করছে পুলিশ।
ওই ব্যক্তিকে গণ
ধোলাই দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে দুর্গাচক থানার পুলিশ। ধৃতদের
শনিবার আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
দিয়েছেন।
অন্যদিকে
নন্দীগ্রামেও একই ভাবে ছেলেধরা সন্দেহে এক এক ব্যক্তির ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ
উঠেছে। সেখানে আবার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে গেলে পুলিশের ওপরেও হামলা চালানো
হয়। এই ঘটনায় ২ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে।
বাদ নেই মহিষাদল
থানা। এখানেও রামবাগ এলাকায় এক পাগলকে ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে
পুলিশ এসে কোনও রকমে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে তাঁকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এভাবে আচমকাই
ছেলেধরা গুজবে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে যে শোরগোল উঠেছে তা নিয়ে
চূড়ান্ত অস্বস্তিতে জেলা পুলিশ প্রশাসন। এই ভাবে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য পুলিশ
থেকে মাইকে ও সোশ্যাল সাইটে প্রচার চালানো হচ্ছে।
পুলিশ সুপারের সাফ
মন্তব্য, জেলায় কোথাও ছেলেধরা ঘুরছে না, বা কোনও শিশু চুরির ঘটনা ঘটেনি। কোথাও
সন্দেহজনক ভাবে কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে তা তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানাতে বলা হচ্ছে।
কিন্তু আইন হাতে তুলে নিলে তা কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানিয়ে
দেওয়া হয়েছে।