পূর্বমেদিনীপুর.ইন : শনিবার
বেলার দিকে দুই যুযুধান রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের
খেজুরি থানার বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের কন্ঠিবাড়ি এলাকা।
বিজেপি নেতা তাপস
দলুইয়ের অভিযোগ, দু’দিন আগে সনৎ মাইতির নেতৃত্বে এলাকায় বিজেপির বিজয় মিছিল
হয়েছিল। সেই রাগে সনৎবাবুকে ডেকে এনে তৃণমূলের পার্টি অফিসে আটকে রেখে মারধর করা
হয় বলে তাঁর দাবী।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই
এলাকার শতাধিক গ্রামবাসীরা তৃণমূলের পার্টি অফিস ঘিরে ফেলে সনৎবাবুকে উদ্ধার করে।
সেই সঙ্গে তৃণমূলের পার্টি অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার খবর পেয়ে চলে
আসে খেজুরি থানার পুলিশ।
পুলিশ এসে উত্তেজিত
গ্রামবাসীদের হঠাতে বেধড়ক লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। এরপরেই শতাধিক গ্রামবাসীরা এসে
পুলিশের একটি গাড়িকে রাস্তার পাশের খালে ফেলে দেয়। অন্যদিকে তৃণমূলের লোকেরা
বিজেপির একটি অস্থায়ী পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
নিয়ে আসতে এলাকায় নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও তৃণমূল বিধায়ক রঞ্জিত মন্ডলের দাবী, বিজেপি নেতা সনৎ মাইতির নেতৃত্বে একদল কর্মী স্থানীয়
তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ বেরার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে আটকে রাখে গ্রামবাসীরা। তখনই বিজেপির লোকেরা এসে তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা চালায়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে। রঞ্জিত মন্ডলের অভিযোগ, যারা এক সময় সিপিএম ছিল তারাই বিজেপিতে নাম লিখিয়ে শান্ত খেজুরিকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে আটকে রাখে গ্রামবাসীরা। তখনই বিজেপির লোকেরা এসে তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা চালায়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে। রঞ্জিত মন্ডলের অভিযোগ, যারা এক সময় সিপিএম ছিল তারাই বিজেপিতে নাম লিখিয়ে শান্ত খেজুরিকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত
দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা
গেছে, এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
No comments