মিলন পন্ডা,
পূর্বমেদিনীপুর.ইন : নিজের উদ্যোগে দাঁড়িয়ে থেকে বৌমাকে পাত্রস্থ করলেন তাঁরই
শ্বশুর। সোমবার এমনই বিরল নজির দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ভবতারিণী মন্দিরে।
পাত্রীর নাম উমা মাইতি,
শ্বশুর মুকুন্দ মাইতি। তাঁদের বাড়ি প…
মিলন পন্ডা,
পূর্বমেদিনীপুর.ইন : নিজের উদ্যোগে দাঁড়িয়ে থেকে বৌমাকে পাত্রস্থ করলেন তাঁরই
শ্বশুর। সোমবার এমনই বিরল নজির দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ভবতারিণী মন্দিরে।
পাত্রীর নাম উমা মাইতি,
শ্বশুর মুকুন্দ মাইতি। তাঁদের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের বাড়জিশুয়া
গ্রামে। বৌমাকে বিয়ে দেওয়াই শুধু নয়, বিয়েতে অংশগ্রহণ করা যাত্রীরা বেশ পেট পুরেই
খেলেন। মেনুতে ছিল মাছ, মাংস, চিংড়ি পোস্তু থেকে দই, মিস্টি সবকিছুই।
আসলে মুকুন্দবাবুর ছেলে
অমিত মাইতি কর্মসূত্রে মহীশুরে থাকতেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ছেলেটি ট্রেনে চেপে
বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে ট্রেনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ছেলের মৃত্যুর পর গত ৭
মাস বৌমাকে নিজের মেয়ের মতোই আগলে রেখেছেন মুকুন্দবাবু।
এবার তিনিই উদ্যোগ নিয়ে
বৌমার জন্য নতুন পাত্রের সন্ধান শুরু করেন। অনেক খোঁজাখুজির পর অবশেষে পূর্ব
মেদিনীপুরের পাঁডকুড়া ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর পাটনা এলাকার বাসিন্দা স্বপন
মাইতির সঙ্গে বৌমার বিয়ে দিলেন মুকুন্দ বাবু।
বৌমা উমা মাইতি বলেন, উনি আমার শ্বশুর মশায় নয় স্বয়ং
আমার বাবা। নিজের মেয়ের ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই দিনেগুলোর কথা আমি কখনোই ভুলবো না। এক সময়
যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তখন
নিজের
মেয়ের মতন আমায় আগলে রেখেছিলেন তিনি, সাহস জুগিয়েছিলেন, প্রেরণা
জাগিয়েছিলেন শ্বশুর মশাই।
No comments